এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

সেক্স-এর জন্য ভালো এবং পাওয়ারফুল ঔষধ কোনটা? Tablet


এই উভয় প্রকার পরিবেশ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্য সচেতনতা হলো কিছু অভ্যাসের আচরণ, যার দ্বারা আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি। 'স্বাস্থ্যই সম্পদ'- এটি একটি বহু পরিচিত বাক্য। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সচেতনতা দরকার।

লিঙ্গ নির্ধারণী

স্বাস্থ্য বিষয়ক বিভিন্ন সংস্থা এবং চিকিৎসকরা বলছেন, এ ধরনের উপসর্গের পেছনে অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরন নামে এক ধরনের লিঙ্গ নির্ধারণী হরমোনের মাত্রা কমে যাওয়া। একে বলা হয় টেস্টোস্টেরন ঘাটতি।

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের এন্ডোক্রাইনোলজি বিভাগের সহযোগী অধ্যাপক ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, মায়ের পেটে থাকার সময় একটা শিশু পুরুষ নাকি নারী হবে-সেটাও এই হরমোনের প্রভাবে অঙ্গ-প্রত্যঙ্গ তৈরি হতে থাকে।

“বয়ঃসন্ধিকাল পর্যন্ত এই হরমোন খুব বেশি মাত্রায় না বাড়লেও ছেলেদের মধ্যে এটির মাত্রা বেশি থাকে। বয়ঃসন্ধিকালের পর এই হরমোনের মাত্রাটা হঠাৎ করে বেড়ে যায় এবং সে একজন পরিপূর্ণ পুরুষ হওয়ার জন্য তৈরি হয়। ওর দাঁড়ি-গোঁফ তৈরি হওয়া থেকে শুরু করে যৌনাঙ্গের পরিপক্বতা, জননাঙ্গের পরিপূর্ণ আকার, ঘাম, মানসিকভাবে পুরুষালি আচরণ- টোটালটাই এই হরমোন দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয় তখন।”

মি. সেলিম বলেন, প্রজনন ও যৌন ক্ষমতা পুরোপুরিই এই হরমোনের উপর নির্ভরশীল।

“আমরা সহজ করে বলে থাকি, একটা পুরুষ দাঁড়িয়ে থাকে টেস্টোস্টেরন লেভেলের উপরে। এই লেভেলে ঘাটতি হলে বা বেশি হলে সমস্যা হতে পারে। তবে বেশি হওয়ার সম্ভাবনা খুব কম। কারো কারো স্বাভাবিক আছে, কারো কারো কম আছে, এই সম্ভাবনাই বেশি।”

যৌন আকাঙ্ক্ষা কমে যাওয়া বা এ ধরনের কোন কাজে উৎসাহ না পাওয়ার মতো উপসর্গ অনেকের মধ্যে থাকলেও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এর কারণ কী তা জানেন না অনেকেই। পুরুষের প্রজনন ও যৌন ক্ষমতা পুরোপুরিই এই হরমোনের উপর নির্ভরশীল।

লক্ষণ কী?

ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরন কমে যাওয়ার প্রথম লক্ষণ হচ্ছে লিবিডোর মাত্রা কমে যাবে এবং এর কারণে যৌনাকাঙ্ক্ষা কমে যাবে। এটা ব্যক্তি নিজে বা তার সঙ্গী বুঝতে পারবে।পুরুষের পেশীর শক্তি কমে যাবে। ফলে যে আগের মতো কাজ করতে পারবে না।

খাওয়ার পর কাজ করার আগ্রহ কমে যাওয়া।

অনেকের চামড়া ঝুলে যেতে পারে। তবে এটা টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি মারাত্মক হলে দেখা দেয়। কারণ পেশীর ঘনত্ব নির্ভর করে টেস্টোস্টেরনের কার্যক্রমের উপর। কমে গেলে এটি ক্ষতিগ্রস্ত হবে।

পুরুষদের বিকৃত যৌন আচরণের অন্যতম কারণ হচ্ছে টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি।

“তার হয়তো কোন কোন সময় আকাঙ্ক্ষা হয়, কিন্তু টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির কারণে পারফর্মেন্স খুব কমে গেছে, তখন সে পার্ভার্টেড কিছু অ্যাক্টিভিটির দিকে ধাবিত হয়। এ সম্পর্কে বলতে গেলে বলা যায়, রাস্তা-ঘাটে যে হয়রানিগুলো হচ্ছে, বাসে, ট্রেনে, যেকোন কিছু হতে পারে।”

তিনি বলেন, যাদের ক্ষেত্রে হরমোনের ঘাটতি খুব দ্রুত হয় তারা বুঝতে পেরে চিকিৎসা নিয়ে থাকে। কিন্তু যাদের মধ্যে ধীরে ধীরে হয়, সে এর সাথে খাপ-খাইয়ে নিতে নিতে বিকৃত যৌন আচরণের প্রতি আকৃষ্ট হয়।

এই হরমোনের ঘাটতির কারণে বন্ধ্যাত্বও দেখা দিতে পারে।

মি. সেলিম বলেন, “বাংলাদেশে যারা চিকিৎসা নিতে আসে তারা নির্দিষ্ট রোগের কারণে আসে। এর মধ্যে একটা হচ্ছে কেউ সন্তান নিতে ব্যর্থ হচ্ছেন, কারো কারো যৌন সক্ষমতা নিজেই বুঝতে পেরেছেন বা পার্টনার বুঝতে পেরেছে যে এটা স্বাভাবিক না, কেউ কেউ টগবগে তরুণ হলেও তার নিজেকে সেভাবে ভাবতে কষ্ট হচ্ছে তার দৈহিক আকৃতি ও সক্ষমতার জন্য, দুর্বলতার জন্য আমাদের কাছে আসে।”

যুক্তরাষ্ট্রের অলাভজনক অ্যাকাডেমিক মেডিকেল সেন্টার ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, কম টেস্টোস্টেরনের যেসব উপসর্গ থাকে তার মধ্যে রয়েছে।
১-যৌন তাড়না কমে যাওয়া  ২-যৌনাঙ্গ উত্থানে অক্ষমতা ৩-যৌন মিলনে অক্ষমতা ৪-অণ্ডকোষ সঙ্কুচিত হওয়া ৫-শুক্রাণুর উৎপাদন কমে যাওয়া।

বন্ধ্যাত্ব

এছাড়াও ঘুমে সমস্যা, মনোযোগে সমস্যা, কাজে উৎসাহ না পাওয়া, মাংস পেশী ও শক্তি কমে যাওয়া, হাড়ের ঘনত্ব কমে যাওয়া, পুরুষদের স্তন গঠিত হওয়া, বিষণ্ণতা, ক্লান্তি ও অবসাদ।

কীভাবে প্রতিরোধ সম্ভব?

ক্লিভল্যান্ড ক্লিনিকের তথ্য অনুযায়ী, যদি জীনগত কারণে, অণ্ডকোষে ক্ষতির কারণে অথবা হাইপোথ্যালামাস বা পিটুইটারি গ্রন্থিতে আঘাতের কারণে টেস্টোস্টেরনের মাত্রা কমে যায়, তাহলে তার কোন চিকিৎসা করা সম্ভব নয়।

তবে কিছু জীবনযাত্রায় কিছু অভ্যাস পরিবর্তন বা সংযোজন করে টেসটোসটেরনের মাত্রা স্বাভাবিক রাখা যায়। এগুলো হচ্ছে,
১-স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া  ২-নিয়মিত ব্যায়াম করা  ৩-ওজন নিয়ন্ত্রণে রাখা। ৪- অতিরিক্ত পরিমাণ অ্যালকোহল পান ও মাদক থেকে দূরে থাকা

এন্ডোক্রাইনোলজিস্ট ডা. শাহজাদা সেলিম বলেন, টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি ঠেকাতে হলে দৈহিক ওজন অবশ্যই কমাতে হবে।
দ্বিতীয়ত, অতিরিক্ত গরম ও রেডিয়েশন থেকে দূরে থাকতে হবে। রেডিয়েশনে কাজ করতে হলে সুরক্ষা পদক্ষেপগুলো যথাযথভাবে অনুসরণ করতে হবে যাতে ঝুঁকি কমে যায়।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে রাখতে হবে।

ডাইবেটিস হলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে যাতে অণ্ডকোষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়।কীটনাশকমুক্ত খাবার খাওয়ার চেষ্টা করতে হবে। সর্বোপরি স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের উপর গুরুত্ব দিয়েছেন তিনি।

চিকিৎসা কী?

টেস্টোস্টেরনের ঘাটতি কমানোর আসলে কোন একক চিকিৎসা নেই। কারণ টেস্টোস্টেরনের ঘাটতির চিকিৎসা আসলে উপসর্গ ভিত্তিক। এর মাত্রা ভিত্তিক নয়। তবে হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপির মাধ্যমে কিছু উপসর্গ কমিয়ে আনা যায়। যেমন যৌন তাড়না, বিষণ্নতার সাধারণ উপসর্গ এবং কাজে উৎসাহে ঘাটতির মতো উপসর্গ কমে আসতে পারে।

সেক্স-এর জন্য ভালো এবং পাওয়ারফুল ঔষধ কোনটা?

হরমোন রিপ্লেসমেন্ট থেরাপি বিভিন্ন ধরনের হয় এবং এর অনেক পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াও আছে। তাই নিয়মিত একজন চিকিৎসকের পরামর্শ মেনে চলা উচিত।
ভায়াগ্রা ১০০ এম জি ট্যাবলেট (Viagra 100 MG Tablet) এই ওষুধের জন্য কি অন্য কোন বিকল্প আছে?
সেক্সিগ্রা ১০০ এম জি ট্যাবলেট (Sexigra 100 MG Tablet)
এন্থুসিয়া ১০০ এম জি ট্যাবলেট (Enthusia 100 MG Tablet)
ভিরাহা ১০০ এম জি ট্যাবলেট (Viraha 100 MG Tablet)
এরিঅ্যাক্টা ১০০ এম জি ট্যাবলেট (Eriacta 100 MG Tablet)

Next Post Previous Post

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬