এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

মস্তিষ্কের সবচেয়ে ভালো কাজ করার জন্য প্রস্তুত করুন। Health


এই উভয় প্রকার পরিবেশ মানুষের শারীরিক ও মানসিক স্বাস্থ্যকে প্রভাবিত করে। স্বাস্থ্য সচেতনতা হলো কিছু অভ্যাসের আচরণ, যার দ্বারা আমরা শারীরিক ও মানসিকভাবে সুস্থ ও স্বাভাবিক জীবনযাপন করতে পারি। 'স্বাস্থ্যই সম্পদ'- এটি একটি বহু পরিচিত বাক্য। স্বাস্থ্যকর জীবনযাপনের জন্য সকল নাগরিকের স্বাস্থ্য সচেতনতা দরকার।

পর্যাপ্ত পানি পান না করা

আমাদের মস্তিষ্কের ৭৫% পানি। তাই মস্তিষ্কের সবচেয়ে ভালো কাজ করার জন্য একে আর্দ্র রাখা বেশ জরুরি। পানির অভাবে মস্তিষ্কের টিস্যু সঙ্কুচিত হয়ে যায় ও কোষগুলো কার্যক্ষমতা হারায়। এতে যৌক্তিক চিন্তা বা সিদ্ধান্ত নেয়ার ক্ষমতা কমে যেতে পারে।

আপনি কি কখনও এমন অবস্থায় পড়েছেন যেখানে আপনি কারও নাম বা কোনও জায়গার নাম মনে করার চেষ্টা করছেন, কিন্তু কিছুতেই মনে পড়ছে না? অনেকেই বলে থাকেন যে বয়সের সাথে সাথে আমাদের স্মৃতিশক্তি লোপ পায়। এমনকি যুক্তি দেয়ার সক্ষমতাও কমে আসে। তবে আশার কথা হচ্ছে, মস্তিষ্কের কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনা যায়। নিচের কিছু মানসিক চর্চা আর কৌশলের মাধ্যমে মস্তিষ্ককে আবার শানিয়ে নেয়া সম্ভব।

ব্যায়াম

এটা আসলেই সত্যি আমরা শরীর চর্চা বা ব্যায়াম করলে আমাদের মস্তিষ্কের উন্নতি ঘটে। ব্যায়ামের কারণে মস্তিষ্কের সাইন্যাপসিস বা যে অংশে দু'টি কোষের নিউরনের মধ্যে স্নায়বিক বৈদ্যুতিক স্পন্দন আদান-প্রদান ঘটে তা বেড়ে যায়। ফলে মস্তিষ্কে আরও বেশি যোগাযোগ স্থাপিত হয় এবং অতিরিক্ত কোষ গঠিত হয়। ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ায়। ব্যায়াম শারীরিক ও মানসিক শক্তি বাড়ায়।

হৃদযন্ত্র সুস্থ থাকার মানে হচ্ছে আপনি আরও বেশি অক্সিজেন গ্রহণ করতে পারবেন এবং শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থ বের করে দিতে পারবেন। আর আপনি যদি বাসার বাইরে বা খোলা যায়গায় শরীর চর্চা করেন তাহলে সেটি আরও বেশি ভালো। কারণ এতে করে আপনি বেশি পরিমাণে ভিটামিন ডি শোষণ করতে পারবেন।

ব্যায়াম করার সময় নতুন কোনও পরিবেশ ঘুরে দেখুন। এতে অন্য মানুষের সাথে মতামত বিনিময় করা কিংবা তাদের কাছ থেকে নতুন কিছু শেখার সুযোগ হয়। এর মাধ্যমে নতুন কোষগুলোর জন্য আপনি একটি সার্কিট তৈরি করতে পারবেন। যেমন, আপনি যদি বাগান করতে পছন্দ করেন, তাহলে একা বাগান না করে কোনও একটি গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে বাগান করতে শুরু করুন কিংবা আপনার যে শখটি আছে তা একা একা না করে একই শখ রয়েছে এমন একটি গ্রুপের সাথে যুক্ত হয়ে যান। এতে নতুন বন্ধু তৈরি হবে। শুধু মনে রাখবেন, আপনাকে একটি ভালো সময় কাটাতে হবে। কোন কিছু শেয়ার করার ইচ্ছা বা ভাগাভাগি করার ইচ্ছা মস্তিষ্কে সামাজিক মিথষ্ক্রিয়া ও ব্যায়ামের উপকারিতা বাড়িয়ে দেয়।

চলতি পথে মুখস্থ করা

চলতি পথে মুখস্থ করার অভ্যাস বিভিন্ন গবেষণায় প্রমাণিত এবং অভিনেতারা এই বিষয়টির চর্চা করেন। বলা হয় যে, আপনি চলার পথে যদি নতুন কোনও শব্দ বা নতুন কিছু শেখার চেষ্টা করেন তাহলে সেটি বেশি মনে থাকে। তাই মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষকে দিনে কমপক্ষে দুই লিটার পানি খেতেই হবে। তবে ওজন, স্বাস্থ্য, বয়স, জীবনযাত্রা এবং আবহাওয়ার ওপর ভিত্তি করে পানির পরিমাণ আরও বাড়তে পারে। অতিরিক্ত কাজের চাপ মস্তিষ্কে ক্ষতি করে। অতিরিক্ত কাজের চাপ মস্তিষ্কে ক্ষতি করে।

অতিরিক্ত চাপ এবং শুয়ে বসে থাকা

দীর্ঘসময় খুব চাপের মধ্যে কাজ করলে মস্তিষ্কের কোষ মারা যায় এবং মস্তিষ্কের সামনে থাকা ফ্রন্টাল কর্টেক্স সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এতে আমাদের স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়। গবেষকদের মতে, যারা কাজের ব্যাপারে ভীষণ খুঁতখুঁতে, অন্যের সাহায্য নিতে ভরসা পাননা, আবার যারা ‘না’ বলতে পারেন না তারা সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপে ভোগেন।
তাই যেকোনো উপায়ে অতিরিক্ত চাপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকেই আছেন যারা অসুস্থ অবস্থাতেও মস্তিষ্কে জোর দিয়ে কাজ করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে শরীর অসুস্থ থাকলে মস্তিষ্ক রোগ প্রতিরোধে ব্যস্ত থাকে তাই এই সময় বাড়তি চাপ না দিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। ছুটি নিন। না হলে মস্তিষ্কে এর দীর্ঘমেয়াদী বিরূপ প্রভাব পড়বে। অতিরিক্ত চাপ নেয়া যেমন খারাপ তেমনি দীর্ঘ সময় শুয়ে বসে থাকাও ক্ষতিকর।

অনেকে আছেন এমন কাজ করেন যেখানে সারাদিন বসে থাকতে হয়। আবার ছুটির দিন এলে শুয়ে বসে সময় কাটিয়ে দেন। পর্যাপ্ত নড়াচড়া, চলাফেরা বা কায়িক শ্রম করেন না। এতে স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। যার প্রভাবে ডিমেনশিয়া হতে পারে। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, প্রতি আধাঘণ্টা পর পর চেয়ার থেকে উঠে চলাফেরা করুন, এজন্য টাইমার সেট করে রাখতে পারেন। চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত তিন দিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটতে। মনে রাখার ক্ষমতা ক্রমেই কমে আসছে। মনে রাখার ক্ষমতা ক্রমেই কমে আসছে।

গুগল সার্চ

খেয়াল করে দেখবেন আমাদের আগের প্রজন্মের অনেকেই ক্যালকুলেটর ছাড়াই ছোটখাটো হিসাব কষে ফেলেন। তাদের ফোন নম্বর মুখস্থ থাকে। প্রচুর বই পড়ার কারণে তাদের সাধারণ জ্ঞানও সমৃদ্ধ।তাদের এই অভ্যাসগুলো মস্তিষ্কের ব্যায়ামের মতো যা তাদের চিন্তাশক্তি ও স্মরণশক্তিকে দীর্ঘসময় শানিত রেখেছে। কিন্তু এই যুগে আমাদের এতকিছু মনে রাখার প্রয়োজন হয় না। প্রযুক্তির উপর এই অতিরিক্ত নির্ভরশীলতার কারণে আমাদের ব্রেইনের নিজস্ব ক্ষমতা কমে গিয়েছে। স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি দুর্বল হয়ে পড়েছে।

মস্তিষ্ক শাণিত করতে সবকিছু গুগল সার্চ না করে মনে রাখতে চেষ্টা করার পরামর্শ দিয়েছেন গবেষকরা। সেইসাথে শব্দ-জট খেলা বিভিন্ন ধরনের পাজল মেলানো, সুডোকু ইত্যাদি ব্রেইন অ্যাকটিভিটির খেলা খেলতে পারেন। উচ্চশব্দের বিরূপ প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে। উচ্চশব্দের বিরূপ প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে।

হেডফোন ব্যবহার, উচ্চ শব্দে জোরে গান শোনা

আপনি যে হেডফোন বা এয়ারপড ব্যবহার করছেন সেটা ৩০ মিনিটেরও কম সময়ে শ্রবণশক্তির ক্ষতি করতে পারে। সেইসাথে জোরে জোরে গান শুনলে কিংবা উচ্চ শব্দের মধ্যে থাকলে শ্রবণের মারাত্মক ক্ষতি হয়। এবং ভয়ের বিষয় হল শ্রবণশক্তিকে একবার যে ক্ষতি হয় সেটা আর ঠিক করা যায় না। আর শ্রবণশক্তি কমে গেলে এর সরাসরি প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে।

মার্কিন গবেষকদের মতে, শ্রবণশক্তি হ্রাস পাওয়া ব্যক্তিদের মস্তিষ্কের টিস্যুর ক্ষতিগ্রস্ত হয় এতে তাদের আলঝেইমার্স হওয়ার আশঙ্কা বেড়ে যায়। ফলে পড়ালেখা করতে এবং মনোযোগ দিতেও কষ্ট হয়। তাই হেডফোন ব্যবহারের আগে বা প্রিয় গানটি জোরে ভলিউমে শোনার আগে দুবার ভাববেন।যদি শুনতেই হয় ভলিউম ৬০ শতাংশের চেয়ে বাড়াবেন না। হেডফোন টানা ব্যবহার না করে, এক ঘণ্টা বিরতি দিয়ে করুন। আরেকটি বিষয় অনেকেই গান শুনে জোরে জোরে মাথা ঝাঁকান বা হেড ব্যাঙ করেন। ব্রিটিশ মেডিক্যাল জার্নাল বলেছে এতে মস্তিষ্কের কোষ মারা গিয়ে মারাত্মক ক্ষতি হয়।একাকীত্ব মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর. একাকীত্ব মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর।

একা একা থাকা, সামাজিক না হওয়া

মানুষের সাথে কথা বলা, আড্ডা দেয়া, এক কথায় সামাজিকীকরণ আপনার মস্তিষ্কের স্বাস্থ্যের জন্য ভীষণ জরুরি। খুব বেশি সময় একা একা সময় কাটানো আপনার মস্তিষ্কে ঠিক ততটাই খারাপ প্রভাব ফেলতে পারে যেমনটা পর্যাপ্ত ঘুম না হলে হয়। সামাজিকীকরণের ফলে আমাদের মস্তিষ্ক উদ্দীপ্ত থাকলে যা একা থাকলে হয় না।

বরং একাকীত্ব থেকে বিষণ্নতা, উদ্বেগ ভর করে এবং এমনকি ডিমেনশিয়া এবং আলঝেইমার্স রোগের আশঙ্কা বেড়ে যায়। তাই যদি মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে চান তাহলে নিয়মিত কাছের কয়েকজন বন্ধু এবং পরিবারের সাথে সময় কাটান। তবে হ্যাঁ তারা যেন অবশ্যই ইতিবাচক মানসিকতার মানুষ হন।নেগেটিভ চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে। নেগেটিভ চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে।

নেতিবাচক চিন্তা ও মানুষ

আপনার যদি প্রতিনিয়ত নেতিবাচক চিন্তার অভ্যাস থাকে: আপনাকে দিয়ে কিছুই হবে না, বিশ্বের অবস্থা খুব খারাপ, ভবিষ্যৎ অন্ধকার, আপনি অভাগা, এমন নেগেটিভ চিন্তার ক্ষতিকর প্রভাব মস্তিষ্কে গিয়ে পড়ে। কেননা নেতিবাচক চিন্তা করার ফলে একদিকে যেমন মানসিক চাপ, হতাশা এবং উদ্বিগ্নতা দেখা দেয়। তেমনি মস্তিষ্কে প্রচুর পরিমাণে অ্যামাইলয়েড এবং টাউ জমে। যা ডিমেনশিয়া ও আলেঝেইমার্স হওয়ার বড় কারণ।

এজন্য নেতিবাচক চিন্তা আসলেই সেটা সাথে সাথে থামিয়ে দেয়ার চেষ্টা করুন। এমনটা বার বার করলে একসময় অভ্যাস হয়ে যাবে। যদি একার চেষ্টায় না পারেন তাহলে মনোরোগবিদের সাহায্য নিন। সেইসাথে নেতিবাচক সঙ্গ এড়িয়ে চলা খুব জরুরি। চেষ্টা করুন অতিরিক্ত নেতিবাচক খবর দেখা থেকে নিজেকে বিরত রাখতে। মস্তিষ্কের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পাওয়া বেশ জরুরি।মস্তিষ্কের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পাওয়া বেশ জরুরি।

অন্ধকারে সময় কাটানো

মার্কিন এক গবেষণায় দেখা গিয়েছে যারা অন্ধকারে বেশি সময় কাটান। কিংবা দীর্ঘসময় এমন কোন আবদ্ধ স্থানে থাকেন যেখানে তেমন আলো বাতাস চলাচল করে না, এমন পরিবেশ মস্তিষ্কের ওপর ভীষণ চাপ তৈরি করে। কারণ আমাদের মস্তিষ্কের জন্য সূর্যের আলোর সংস্পর্শ পাওয়া বেশ জরুরি। নাহলে ডিপ্রেশনের মতো সমস্যা হতে পারে।

আপনি মস্তিষ্ক সুস্থ রাখতে প্রতিদিন সূর্যের আলোয় যেতে হবে। এজন্য বাইরে বেরিয়ে পড়ুন। ঘরে থাকলে দরজা জানালা খুলে দিন। মদপান ও ধূমপানের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। মদপান ও ধূমপানের সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে।

খাদ্যাভ্যাস

অতিরিক্ত খাওয়ার অভ্যাস, সেটা স্বাস্থ্যকর খাবার হলেও মস্তিষ্কের ক্ষতি করে। গবেষণা দেখা গিয়েছে অতিরিক্ত খাওয়ার ফলে মস্তিষ্কের ধমনীগুলোয় কোলেস্টেরল জমে রক্তপ্রবাহ কমে যায়। এতে স্মৃতিশক্তি ও চিন্তাশক্তি লোপ পায় যার প্রভাব ডিমেনশিয়া ও আলঝেইমার্স হতে পারে। জাঙ্ক ফুড, ভাজাপোড়া, অতিরিক্ত চিনিযুক্ত খাবার, কোমল পানীয় ইত্যাদি খেলেও মস্তিষ্ক একই ধরণের ঝুঁকির মধ্যে পড়ে।

এজন্য পরিমিত ও সঠিক খাদ্যাভ্যাস খুব জরুরি। অনেকে দৈনিক ক্যালোরির হিসাব রাখতে বিভিন্ন অ্যাপ ব্যবহার করেন। তবে সবচেয়ে ভালো উপায় পুষ্টিবিদের পরামর্শে নিজের ডায়েট তৈরি করে তা মেনে চলা। অনেকেই ডায়েট বলতে মনে করেন চর্বি বাদ দিতে হবে। কিন্তু মনে রাখতে হবে মস্তিষ্কের ৬০ শতাংশই ফ্যাট বা চর্বি। তাই সব ধরণের খাবারই খেতে হবে কিন্তু পরিমিত হারে। আরেকটি বিষয় মদপান ও ধূমপান যে স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর সবাই জানি। কিন্তু সবচেয়ে খারাপ প্রভাব পড়ে মস্তিষ্কে। এতে মস্তিষ্কের স্নায়ু সঙ্কুচিত হয়ে যায়, কোষ ক্ষতিগ্রস্ত হয়।

ফলে আমাদের মস্তিষ্কের হিপোক্যাম্পাস, যেখানে স্মৃতি জমা হয়, সেটি বিকাশ হতে পারে না। এগুলো আলঝেইমার্স ও ডিমেনশিয়া হওয়ার প্রধান কারণ। এসবের প্রভাবে মস্তিষ্কের হাইপোক্সিয়া পর্যন্ত হতে পারে।

Next Post Previous Post

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬