যারা ‘না’ বলতে পারেন না তারা সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপে ভোগেন। HEALTH CONSCIOUS
অজান্তে মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে
মস্তিষ্ক মানবদেহের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ। মস্তিষ্ক আমাদের স্মৃতি, অনুভূতি এবং চিন্তা নিয়ন্ত্রণ করে। মস্তিষ্ক যতই ব্যবহৃত হয়, ততই শক্তিশালী আর কার্যকর হয়। তবে দৈনন্দিন জীবনের এমন কিছু অভ্যাস আছে যা আপনার অজান্তে মস্তিষ্কের ক্ষতি করতে পারে। যেমন-
দীর্ঘসময় খুব চাপের মধ্যে কাজ করলে মস্তিষ্কের কোষ মারা যায় এবং মস্তিষ্কের সামনে থাকা ফ্রন্টাল কর্টেক্স সঙ্কুচিত হয়ে পড়ে। এতে আমাদের স্মৃতি ও চিন্তাশক্তি ক্ষতিগ্রস্ত হয়।
মনে রাখতে হবে
গবেষকদের মতে, যারা কাজের ব্যাপারে ভীষণ খুঁতখুঁতে, অন্যের সাহায্য নিতে ভরসা পাননা, আবার যারা ‘না’ বলতে পারেন না তারা সবচেয়ে বেশি মানসিক চাপে ভোগেন। তাই যেকোনো উপায়ে অতিরিক্ত চাপ নেয়া থেকে বিরত থাকতে হবে। অনেকেই আছেন যারা অসুস্থ অবস্থাতেও মস্তিষ্কে জোর দিয়ে কাজ করেন। কিন্তু মনে রাখতে হবে শরীর অসুস্থ থাকলে মস্তিষ্ক রোগ প্রতিরোধে ব্যস্ত থাকে তাই এই সময় বাড়তি চাপ না দিয়ে মস্তিষ্ককে বিশ্রাম দিন। ছুটি নিন। না হলে মস্তিষ্কে এর দীর্ঘমেয়াদী বিরূপ প্রভাব পড়বে।
স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে
অতিরিক্ত চাপ নেয়া যেমন খারাপ তেমনি দীর্ঘ সময় শুয়ে বসে থাকাও ক্ষতিকর। অনেকে আছেন এমন কাজ করেন যেখানে সারাদিন বসে থাকতে হয়। আবার ছুটির দিন এলে শুয়ে বসে সময় কাটিয়ে দেন। পর্যাপ্ত নড়াচড়া, চলাফেরা বা কায়িক শ্রম করেন না। এতে স্থূলতা, হৃদরোগ এবং ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ে। যার প্রভাবে ডিমেনশিয়া হতে পারে। তাই মস্তিষ্ককে সুস্থ রাখতে নিয়মিত ব্যায়াম করুন, প্রতি আধাঘণ্টা পর পর চেয়ার থেকে উঠে চলাফেরা করুন, এজন্য টাইমার সেট করে রাখতে পারেন।
মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে
চেষ্টা করুন সপ্তাহে অন্তত তিন দিন আধা ঘণ্টা করে হাঁটতে। প্রযুক্তির উন্নয়নের সঙ্গে সঙ্গে এখন আমাদের দৈনন্দিন কাজে অনেক পরিবর্তন এসেছে। কম্পিউটার, ল্যাপটপের স্ক্রিনের দিকে তাকিয়ে ঘণ্টার পর ঘন্টা বসে কাজ করছি। গবেষণায় দেখা গেছে, দীর্ঘ সময় ধরে বসে থাকার ফলে মস্তিষ্কে রক্ত প্রবাহ কমে যেতে পারে। মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে শারীরিক কার্যকলাপ অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। এজন্য সপ্তাহে ৫ দিন আধ ঘণ্টা করে অন্তত ৩০ মিনিট শরীরচর্চা জরুরি। এছাড়া একটানা বসে না থেকে প্রতি ১৫ থেকে ৩০ পর পর একটু বিরতি নিন।
অনিদ্রার কারণ হতে পারে
আমাদের দৈনন্দিন জীবনে স্ত্রিনের যথেষ্ট প্রভাব রয়েছে। অতিরিক্ত স্ক্রিন টাইম ক্লান্তি এবং অনিদ্রার কারণ হতে পারে। বড়দের মতো শিশুরাও যদি স্ক্রিনে অতিরিক্ত সময় কাটায় তাহলে তা তাদের মস্তিষ্কে প্রভাব ফেলে। এ কারণে সবারই স্ক্রিন টাইম সীমিত করা প্রয়োজন। কিন্তু এভাবে আপনি যে আপনার ব্রেনের ১২টা বাজাচ্ছেন সেটা কী জানেন?