আসল সোনা চেনার উপায়, সঠিক পরিক্ষা করে স্বর্ণ কিনুন। Gold Ornaments
Gold is a chemical element; it has symbol Au and atomic number 79. In pure form, it is a bright, slightly orange-yellow, dense, soft, malleable, and ductile metal. Chemically, gold is a transition metal, a group 11 element, and one of the noble metals
অতি মূল্যবান ধাতু
সোনা একটি ধাতব হলুদ বর্ণের ধাতু। বহু প্রাচীনকাল থেকেই মানুষ এই ধাতুর সাথে পরিচিত ছিল। অপরিবর্তনীয় বৈশিষ্ট্য, চকচকে বর্ণ, বিনিময়ের সহজ মাধ্যম, কাঠামোর স্থায়ীত্বের কারণে এটি অতি মূল্যবান ধাতু হিসেবে চিহ্নিত হয়ে আসছে সেই প্রাচীনকাল থেকেই। সোনা দিয়ে বিভিন্ন ধরনের অলঙ্কার তৈরির প্রথা এখনও সমানভাবে বিরাজমান রয়েছে। লক্ষ টাকার গহনা কিনলেও কখনও কি যাচাই করেছেন আসল নাকি নকল? জানুন সোনা চেনার উপায়। তাই সতর্ক হওয়া আবশ্যক। কীভাবে? সোনা চেনার কিছু ঘরোয়া উপায়ও রয়েছে। দেখে নেওয়া যাক সেই উপায়গুলি।
লাইফস্টাইল
এখনও পর্যন্ত জনপ্রিয় বিনিয়োগের বিকল্প হিসেবে সোনাকেই গণ্য করা হয়। বিপদের দিনে সহায় হয়ে দাঁড়ায় এই স্ত্রী-ধন। কিন্তু মুশকিল হল, অনেকেই আসল আর নকল সোনার ফারাক করতে পারেন না। এমনিতে বেশির ভাগ আন্তর্জাতিক মানদণ্ড অনুযায়ী, ৪১.৭ শতাংশ অথবা ১০ ক্যারাটের কম সোনা নকল হিসেবে বিবেচিত হয়। তবে প্রথম দর্শনে কিন্তু নকল সোনাও ঘোল খাইয়ে দিতে পারে। ফলে প্রতারকরা এভাবে প্রতারণার জাল পাততে পারে।
অ্যাসিড পরীক্ষা
খাঁটি সোনা কখনওই নাইট্রিক অ্যাসিডের সঙ্গে বিক্রিয়া করে না। তবে তামা বা কপার, জিঙ্ক, স্টার্লিং সিলভার-সহ নানা সঙ্কর ধাতুর সঙ্গে বিক্রিয়া করে। তবে সোনার বিশুদ্ধতার এই পরীক্ষা করার সময় গ্লাভস এবং মাস্ক পরা আবশ্যক। আর এমন ঘরে তা করতে হবে, যেখানে ভাল আলো-বাতাস খেলে। গয়নার পৃষ্ঠতল হালকা করে আঁচড়ে নিয়ে একটি ড্রপার ব্যবহার করে স্বল্প পরিমাণ নাইট্রিক অ্যাসিড যোগ করতে হবে। ওই পৃষ্ঠতল সবুজ রঙ ধারণ করলে বুঝতে হবে যে, তা সোনার জল করা। আর খাঁটি হলে তা থেকে দুধের মতো পদার্থ নির্গত হবে।
ম্যাগনেট টেস্ট বা চৌম্বকীয় পরীক্ষা
আসলে আসল বা খাঁটি সোনা কিন্তু ম্যাগনেটিক নয়। তবে অন্য বেশির ভাগ ধাতু কিন্তু ম্যাগনেটিক। তাই শক্তিশালী চুম্বক ঘরে থাকলে অনায়াসে খাঁটি সোনা পরীক্ষা করা যাবে। সোনার টুকরোটির সামনে রেখে দেখতে হবে যে, সেটি চুম্বকের প্রতি আকৃষ্ট হচ্ছে কি না। ফলে এই পরীক্ষাটি বেশ সহজও। আর সবথেকে বড় কথা হল, সোনায় কিন্তু মরচে পড়ে না। যদি মরচে দেখা যায়, তাহলে বুঝতে হবে যে, সেটা খাঁটি সোনা নয়।
হলমার্ক
সোনা আসল বা খাঁটি কি না, সেটা নির্ধারণ করার জন্য তাতে হলমার্ক করা হয়। তাই হলমার্ক সার্টিফিকেশনটা দেখে নিতে হবে। সোনার গয়না এবং মুদ্রার সার্টিফিকেশনের জন্য ব্যুরো অফ ইন্ডিয়ান স্ট্যান্ডার্ডস (বিআইএস) তৈরি করেছে ভারত সরকার। সোনার পিছনে লুকোনো থাকে এই হলমার্ক। আসলে বিআইএস সোনার বিশুদ্ধতা এবং সূক্ষ্মতার নির্ধারণ করে।
ফ্লোট টেস্ট বা ভাসমান পরীক্ষা
সোনা হল কঠিন এবং ভারি ধাতু। বিশুদ্ধতা নির্ধারণ করার জন্য এই ধাতুর ঘনত্ব এবং তা কতটা ভারি সেটা পরীক্ষা করতে হবে। এর জন্য একটি বালতিতে জল ভরে সোনার গয়না তার মধ্যে ফেলতে হবে। খাঁটি সোনা দিয়ে তৈরি হলে তা জলে ডুবে যাবে।