ভয়াবহ দুর্ভিক্ষের মুখোমুখি গাজার বাসিন্দারা। যুদ্ধ কি থামবে? Famine
ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা
গত ৭ অক্টোবর হামাস ইসরাইলে হামলা চালায়। এর পর থেকে ইসরাইলের হামলায় এখন পর্যন্ত গাজায় ৩১ হাজারের বেশি মানুষ নিহত হয়েছে। এর মধ্যে একটি বড় অংশই বেসামরিক সাধারণ মানুষ। এতে ইসরাইলের বিরুদ্ধে বিশ্বজুড়ে সমালোচনা ক্রমে তীব্র থেকে তীব্রতর হচ্ছে।
নেতানিয়াহুর এই কনফারেন্সের এক সপ্তাহ আগে মার্কিন সিনেটের সংখ্যাগরিষ্ঠ ডেমোক্রেটিক পার্টির নেতা চাক শুমার ইসরাইলে আগাম নির্বাচন দেওয়ার আহ্বান জানান।
গাজা যুদ্ধ চলমান
ওই সময় তিনি বলেন, বিশ্বব্যাপী ‘একঘরে’ হওয়ার ঝুঁকিতেও রয়েছে ইসরাইল।
গাজা যুদ্ধ চলমান থাকবে বলে যুক্তরাষ্ট্রের রিপাবলিকান সিনেটরদের জানিয়েছেন ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জামিন নেতানিয়াহু।
নেতানিয়াহু
বুধবার ভিডিও কনফারেন্সে তিনি এমনটি জানান। খবর আলজাজিরার।
মার্কিন সিনেটর জন বারাসো বলেন, ‘আমরা যুদ্ধ, জিম্মিদের মুক্তি ও হামাসকে পরাজিত করার প্রচেষ্টার বিষয়ে তাকে (নেতানিয়াহু) আপডেট জিজ্ঞাসা করেছি। আমরা তাকে বলেছিলাম- ইসরাইলের আত্মরক্ষা করার অধিকার রয়েছে। তিনি বলেছেন- তারা ঠিক এটিই করে চলেছে।
মানুষ নিহত
ভিডিও কনফারেন্সে নেতানিয়াহু জানান, গাজায় এ পর্যন্ত ২৮ হাজার মানুষ নিহত হয়েছেন। এই সংখ্যাটি গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের হিসাবের চেয়ে প্রায় ৪ হাজার কম।
যুদ্ধের পরে গাজায় কীভাবে সুশাসন আনা যাবে ও গাজাকে সুরক্ষিত রাখা যাবে, সেই পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করতে মধ্যপ্রাচ্য সফরে গেছেন মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন।
সৌদি আরব ও মিশর
প্রথমে সৌদি আরব ও তারপর মিশরে আরব নেতাদের সাথে পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি ব্লিঙ্কেন আলোচনা করবেন। যাকে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র বলছে ‘অ্যান আর্কিটেকচার ফর লাস্টিং পিস’, অর্থাৎ সেখানে দীর্ঘস্থায়ী শান্তির লক্ষ্যে একটি কাঠামো তৈরির চেষ্টা করা হবে।
সংস্থাটি আরও বলেছে যে আগামী মে মাসের মাঝে গাজার উত্তরাঞ্চলেও একটি মানব সৃষ্ট দুর্ভিক্ষ আসতে চলেছে।
মি. মিলার
এছাড়াও মি. মিলার যোগ করেন, পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আলোচ্যসূচীতে আরও থাকবে গাজার জন্য সংঘাত পরবর্তী পরিকল্পনার সমন্বয়, এটি নিশ্চিত করা যে হামাস আর গাজাকে নিয়ন্ত্রণ করতে না পারে বা সাতই অক্টোবরের হামলার আর পুনরাবৃত্তি ঘটাতে পারবে না, ফিলিস্তিনি জনগণের জন্য একটি রাজনৈতিক সমাধান, দীর্ঘস্থায়ী শান্তি স্থাপন এবং এই অঞ্চলের নিরাপত্তা।
বিশ্বে যখন মুসলমানদের পবিত্র রমজান
গত সোমবার, ১১ই মার্চ ভোর থেকে আরব বিশ্বে যখন মুসলমানদের পবিত্র রমজান মাস শুরু হয়েছে, তখন গাজার বাসিন্দারা মুখোমুখি হয়েছেন এক নিষ্ঠুর বাস্তবতার।
গাজাবাসীর
যে রমজান মাসে মুসলমানরা সারা দিন রোজা রাখেন, অর্থাৎ খাবার-পানি খাওয়া থেকে বিরত থাকেন, সেটি গাজাবাসীর সামনে দুর্ভিক্ষ হয়ে এসেছে।
যুদ্ধ
গত পাঁচ মাস ধরে যুদ্ধের মধ্যে রয়েছেন গাজার বাসিন্দারা। বাস্তবিক অর্থে এখনো সেখানকার সব মানুষ এখন খাদ্য সহায়তার ওপর নির্ভর করেই বেঁচে আছেন।
অনাহারে থাকছে
এখানকার মানুষজন ইতোমধ্যেই মাসের পর মাস জুড়ে অনাহারে থাকছে, বলছিলেন গাজা শহরের আল-শিফা হাসপাতালের জরুরি বিভাগের উপ-পরিচালক ড. আমজাদ ইলেইয়া।