এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। EID


বড় ছুটির মুখে পড়তে যাচ্ছে পুরো দেশ

বিভিন্ন মন্ত্রণালয়ের কর্মচারীদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, তারা দুই দিনের আগাম ছুটির প্রস্তুতি নিচ্ছেন। দু-এক দিনের মধ্যে কর্তৃপক্ষের কাছে ছুটির আবেদন জমা দেবেন। অনেকে আবার ঈদের ছুটিতে বিদেশ সফর করবেন। তবে সেক্ষেত্রে অধিকাংশ উচ্চপর্যায়ের কর্মচারী চিকিৎসা সেবা নিতে বিদেশ সফরের আবেদন করবেন বলে জানা গেছে।

তাই মাঝখানের মাত্র দুই দিন কাগজে-কলমে খোলা থাকছে অফিস-আদালত। এই দুটি দিনের আগে-পরে বড় ছুটির মুখে পড়তে যাচ্ছে পুরো দেশ।

ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি

আবার যদি রমজান মাস ২৯ দিনে হলে ৯ তারিখ থেকে শুরু হবে ঈদ-উল-ফিতরের সরকারি ছুটি। সেক্ষেত্রে ৮ এপ্রিল মাত্র ১ দিনের ছুটি নিলেই টানা ১০ দিনের ছুটি ভোগ করতে পারবেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ ১২ এবং ১৩ এপ্রিল শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। পরদিন ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।

১০ দিন ছুটি১০ দিন ছুটি

বাড়তি দুই দিনের ছুটি নিলে এবারের ঈদ-উল-ফিতরে সরকারি কর্মচারীদের টানা ১০ দিন ছুটি মিলতে পারে। এই সুযোগকে কাজে লাগাতে ইতোমধ্যে দুই দিনের ছুটির জন্য আবেদনের প্রস্তুতি নিচ্ছেন অনেকেই।

সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার

সরকারি ছুটির ক্যালেন্ডার বলছে, চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ঈদের ছুটি শুরু হবে। তবে আগামী ৫ ও ৬ এপ্রিল যথাক্রমে শুক্রবার ও শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি। ৭ এপ্রিল শব-ই-কদরের সরকারি ছুটি। ৮ এবং ৯ এপ্রিল সরকারি অফিস, আদালত, ব্যাংক, বীমা খোলা থাকবে। সেক্ষেত্রে ৮ ও ৯ এপ্রিল ছুটি নিলেই ১৪ এপ্রিল পর্যন্ত টানা ১০ দিনের ছুটি পেতে পারেন সরকারি কর্মচারীরা। কারণ ক্যালেন্ডার অনুযায়ী চাঁদ দেখা সাপেক্ষে ১০, ১১ এবং ১২ এপ্রিল ঈদ-উল-ফিতরের ছুটি। আবার ১৩ এপ্রিল শনিবার সাপ্তাহিক ছুটি এবং ১৪ এপ্রিল পহেলা বৈশাখ।

যানজটের আশঙ্কা

আসন্ন ঈদযাত্রায় সারা দেশের সড়ক-মহাসড়কে ১৫৫টি স্থানে যানজটের আশঙ্কা রয়েছে। যানজটের সম্ভাব্য এসব সড়ক ও জায়গা চিহ্নিত করেছে হাইওয়ে পুলিশ। এসব স্থানে যানজটের কারণ চিহ্নিত করে সমাধানের জন্য কয়েকটি প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে।

বিআরটিএ

আজ বৃহস্পতিবার রাজধানীর বনানীতে বাংলাদেশ সড়ক পরিবহন কর্তৃপক্ষের (বিআরটিএ) প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত এক আলোচনা সভায় যানজটের সম্ভাব্য এসব স্থান তুলে ধরা হয়। আসন্ন পবিত্র ঈদুল ফিতরে সড়কপথে যাত্রীসাধারণের যাতায়াত নিরাপদ ও নির্বিঘ্ন করতে করণীয় নির্ধারণে সভাটি অনুষ্ঠিত হয়।

বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রস্তাব

সভায় ঈদের আগে ও পরে তিন দিন করে মোট ছয় দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়।

৬ দিন বন্ধ ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান

সভায় ঈদের আগে ও পরের তিন দিন করে মোট ছয় দিন মহাসড়কে ট্রাক, কাভার্ড ভ্যান ও লরি চলাচল বন্ধ রাখার বিষয়ে প্রস্তাব দেওয়া হয়। তবে নিত্যপ্রয়োজনীয় খাদ্যদ্রব্য, পচনশীল দ্রব্য, তৈরি পোশাকসামগ্রী, ওষুধ, সার এবং জ্বালানিবহনকারী যান এর আওতামুক্ত থাকবে। মন্ত্রী এ বিষয়ে ট্রাক-কাভার্ড ভ্যান মালিক সমিতির কাছে সহযোগিতা চান। এ সময় মালিক সমিতির নেতারা বলেন, প্রতিবছরই তাঁরা ঈদযাত্রার সময়ে এ বিষয়ে সহযোগিতা করেন, এবারও করবেন।

২৪ ঘণ্টা সিএনজি-ফিলিং স্টেশন খোলা

ঈদের দিনসহ আগের সাত দিন ও পরের পাঁচ দিন সার্বক্ষণিক (২৪ ঘণ্টা) সিএনজি গ্যাস ও জ্বালানি বিক্রির (পেট্রল-ডিজেল-অকটেন) ফিলিং স্টেশন খোলা রাখার প্রস্তাব করা হয়। এর বাইরে মহাসড়ক ও করিডরগুলোতে ঈদের সময় মেরামত ও রক্ষণাবেক্ষণের কাজ না করা, তৈরি পোশাক কারখানার কর্মীদের পর্যায়ক্রমে ছুটির ব্যবস্থা করা, পণ্য পরিবহনের গাড়িতে যাত্রী বহন না করার বিষয়ে প্রস্তাব করা হয়।

চাঁদাবাজি

পরিবহনমালিক ও শ্রমিক নেতাদের প্রতিনিধিরা বলেন, ঈদের সময় বাস থেকে চাঁদাবাজি বেড়ে যায়। চাঁদাবাজির কারণে বাসমালিকেরাও যাত্রীসাধারণের কাছ থেকে নির্ধারিত ভাড়ার চেয়ে অতিরিক্ত টাকা আদায় করেন। চাঁদাবাজি বন্ধ করা গেলে যাত্রীরাও নির্ধারিত ভাড়ায় যাত্রা করতে পারবেন।

Next Post Previous Post

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬