এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

ধনী হওয়ার স্বপ্ন সবাই দেখেন এই কাজ গুলি মেনে চলুন। আপনিও ধনি হবেন নিশ্চিত


ধনী হওয়ার স্বপ্ন সবাই দেখেন, তবে ক’জনই বা হতে পারেন! আসলে ধনী হতে গেলে যেমন সৌভাগ্যেরও প্রয়োজন, ঠিক তেমনই পরিশ্রম, সততা ও জ্ঞানও থাকতে হয়।
বিশ্বের বিভিন্ন ধনী ব্যক্তিদের জীবনের কাহিনিতে নানা ধরনের টুইস্ট আছে। ধনী হতে চাইলে জীবনে ইতিবাচক চিন্তা ও কর্মকাণ্ডের বিকল্প নেই। এর পাশপাশি কয়েকটি বিষয় মাথায় রাখতে হবে।

জেনে নিন কী কী-

অর্থ উপার্জনের জন্য শুধু একটি নির্দিষ্ট কাজকে প্রাধান্য দেবেন না। ধরুন, চাকরির পাশাপাশি ছোটখাট ব্যবসা শুরু করুন। যা আপনাকে আরও উপার্জনে সহায়তা করবে। উচ্চকাঙ্খী মানুষের সঙ্গে আড্ডা দিন উচ্চাকাঙ্খী মানুষদের সঙ্গে মেলামেশা করুন। এতে নিজের মধ্যে আত্মবিশ্বাস আরও বাড়বে। ফলে লক্ষ্য পূরে আরও এগিয়ে যেতে পারবেন। বড় বিষয় নিয়ে চিন্তা করুন ছোটখাট বিষয় নিয়ে চিন্তা না করে বরং সব সময় বড় বিষয় নিয়ে ভাবুন। আপনার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে কী কী করণীয় সে বিষয়ে চিন্তার পরিধি আরও বাড়ান। বিনিয়োগ করুন বিভিন্ন কাতে অর্থ বিনিয়োগ করার মাধ্যমেও আপনি ভবিষতে অর্থ সঞ্চয় করতে পারবেন। যা এক সময় আপনার ধনী হওয়া স্বপ্ন পূরণ করবে। যদিও বিনিয়োগে ঝুঁকি থাকে লস হওয়ার, তবে সাফল্য পেতে হলে তো ঝুঁকি একটু নিতেই হবে! মিতব্যায়ী হন অর্থ সঞ্চয়ের একমাত্র উপায় হলো মিলব্যায়ীতা। আপনি যতটা বুঝে শুনে কম খরচ করতে পারবেন, ততই অর্থ জমাতে পারবেন। তাই বাজেট করে চলুন। বিশ্বের যত ধনী ব্যক্তি আছেন, তারাও প্রয়োজন ছাড়া বেশি অর্থ ব্যায়ে বিশ্বাসী নন। লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন ধনী হওয়ার স্বপ্নপূরণের ক্ষেত্রে আপনার লক্ষ্য নির্দিষ্ট করুন। আর সেই লক্ষ্যেই এগিয়ে যান নিরলস পরিশ্রমের মাধ্যমে। আপনার লক্ষ্য যতটা বাস্তবাদী হবে, ততটাই আপনি সফলতার পথে এগিয়ে যাবেন।
সকালে ঘুম থেকে উঠুন ধনী হতে চাইলে জীবনধারাও সঠিক ও সুস্থ রাখতে হবে। এজন্য সকালে ঘুম থেকে উঠুন দ্রুত, এরপর করুন শরীরচর্চা। ঋণ পরিশোধ করুন ধনী ব্যক্তিরাও তাদের ঋণ পরিশোধের বিষয়ে খুব সতর্ক থাকেন। যত দ্রুত সম্ভব ঋণের বোঝা হালকা করুন। না হলে ভয়াবহ পরিণতি হতে পারে। ধনী হতে চাইলে আপনাকে অবশ্যই কমফোর্ট জোন থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। ধনী ব্যক্তিরা সর্বদা কাজ নিয়ে ভাবেন, এজন্য তারা আরাম-আয়েশের জীবন পছন্দ করেন না।
বিশ্বের বড় বড় ধনকুবের কীভাবে ধনী হয়েছেন? কেউ ধনী বাবার সম্পদে, কেউবা দা মেরে। মেধা খাটিয়ে, মাথার ঘাম পায়ে ফেলে ধনী হওয়া মানুষের সংখ্যাও কম নয়। ধনী হওয়ার ক্ষেত্রে যেসব বিষয় বেশ ফলদায়ক, 

তা এখানে তুলে ধরা হলো:

১. সঞ্চয়: কম খেয়ে বেশি করে সঞ্চয় করতে হবে। থিয়েটার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ডালাস মারভিকের প্রতিষ্ঠাতা যুক্তরাষ্ট্রের ব্যবসায়ী মার্ক কিউবান, যাঁর বর্তমান সম্পদের পরিমাণ ৩০০ কোটি ডলার, তিনি মনে করেন, ধনী হওয়ার মূলমন্ত্র সঞ্চয়। একটি পয়সাও অপ্রয়োজনীয় কাজে ব্যয় করা যাবে না। কফির বদলে পানি খেতে হবে। দামি বার্গারের বদলে বাসায় রুটি খেয়ে অর্থ জমাতে হবে। ভুলে যেতে হবে ক্রেডিট কার্ডের ব্যবহার। জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে করতে হবে সঞ্চয়।

২. স্রোতের বিপরীতে যাওয়া: বাফেট বার্কশায়ার হ্যাথাওয়ে কোম্পানির প্রধান নির্বাহী ওয়ারেন বাফেট, বর্তমানে যাঁর সম্পদের মূল্য ৭৭ বিলিয়ন ডলারের বেশি, তাঁর মতে, ধনী হতে হলে স্রোতের বিপরীতে যাওয়ার সাহস থাকতে হবে। মূলত, পুঁজিবাজারে বিনিয়োগের বিষয়টির কথা বলেছেন তিনি। তাঁর মতে, পুঁজিবাজারে যখন ‘বুমিং’ থাকবে, তখন বিনিয়োগ করা যাবে না। যখন বাজার পড়তির দিকে থাকবে, তখন বিনিয়োগ করতে হবে। এই মন্ত্র ব্যবহার করলে পুঁজিবাজারে বিনিয়োগ করে ধনী হওয়া যাবে। অর্থাৎ, সবাই যখন লাভ করছে, তখন বিনিয়োগ করা যাবে না। নিজেকে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। যখন বাজারে শেয়ারের মূল্য কম থাকবে, তখন বৃহৎ আকারে বিনিয়োগ করতে হবে।

৩. ভয় পেলে চলবে না: যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক আবাসন প্রতিষ্ঠান কে বি হোমসের প্রতিষ্ঠাতা এলি বোর্ডের মতে, ধনী হওয়ার মূলমন্ত্র ভড়কে না যাওয়া। বর্তমানে তাঁর সম্পদের পরিমাণ ৭০০ কোটি ডলারের বেশি। কোনো কাজ করার ক্ষেত্রে খুব বেশি সতর্ক থাকলে এবং ব্যর্থ হওয়ার ভয়ে পিছপা হলে সফল হওয়া যায় না। অনেক সময় অজানা কোনো কাজেও সাহস করে এগিয়ে গেলে সফল হওয়া সম্ভব।

৪. কাজের ধরন নিজেকে জানতে হবে: কোনো কোম্পানি প্রতিষ্ঠা করতে হলে সেই কোম্পানির কাজের ধারা সম্পর্কে পুরোপুরি জানতে হবে। নিজের কোম্পানিতে কীভাবে পণ্য উৎপাদিত হচ্ছে, এ ব্যাপারে ধারণা না থাকলে সাফল্য অর্জন সম্ভব নয়। চকলেট প্রস্তুতকারক প্রতিষ্ঠান মারস ইন করপোরেশনের প্রতিষ্ঠাতা ফরেস্ট মার্স, যাঁর বর্তমান সম্পদের মূল্য ৪০০ কোটি ডলার, তাঁর মতে, নিজের সাফল্যের জন্য অন্যের ওপর নির্ভর করলে ব্যর্থতা নিশ্চিত।

৫. সুযোগ বুঝতে হবে: গুগলের সাবেক সিইও এবং বর্তমান আলফাবেটের এক্সিকিউটিভ চেয়ারম্যান এরিক শ্যুমিৎ মনে করেন, সুযোগ বুঝতে হবে। ধনী হওয়ার বিষয়টি অনেক সময় ভাগ্যের ওপর নির্ভর করে। তবে ভাগ্য যখন আসবে, তখন তা বুঝতে হবে।

৬. আত্মকেন্দ্রিকতা: নিজেকে জানতে হবে। সব পরিস্থিতিতে নিজেকে মানাতে হবে। জ্বালানি খাতের ব্যবসা প্রতিষ্ঠান টেলসার প্রতিষ্ঠাতা এলন মাস্কের সাবেক স্ত্রী জাস্টিন মাস্কনিজে ধনী না হলেও সম্পদ গড়ার বিষয়ে পরিকল্পনা দেওয়ায় তাঁর খ্যাতি রয়েছে। জাস্টিন মনে করেন, যেমন অবস্থাই আসুক না কেন, নিজেকে মানাতে হবে। হয়তো আপনার সামনে সামান্য খাবার, তা-ই দিয়ে আপনাকে চলতে হবে। ঘুম হচ্ছে না, এরপরও নিজেকে সতেজ রাখতে হবে।

৭. মন কী চায়: বিশ্বের প্রায় সব ধনীই এই বিষয়টির ওপর জোর দিয়েছেন। মন কী চায়, সে কথা শুনতে হবে। যে কাজটি মন থেকে আসে, তা-ই নিষ্ঠার সঙ্গে করতে হবে। তাহলে সাফল্য আসবে। সূত্র: দ্য চিটশিট
fatelot.com

Next Post Previous Post

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬