প্রবাসীদের ৩ কোটি টাকা ক্ষতি পূরণ।
তিন জন নিহত
মালয়েশিয়ার পাহাং রাজ্যে পুলিশের সঙ্গে বন্দুকযুদ্ধে বাংলাদেশিসহ তিন জন নিহত হয়েছে। সোমবার (১১ মার্চ) বেলা সাড়ে ১১টায় ওই রাজ্যের জালান পেকান-কুয়ান্তানে এ ঘটনা ঘটে। নিহতরা ডাকাত দলের সদস্য ছিলেন। পেকানের পাহাং রাজ্য উন্নয়ন বোর্ড এলাকায় সন্দেহজনক অবস্থায় একটি গাড়ি শনাক্ত করে পুলিশ। তাদের থামার সংকেত দিলে তা না মেনে দ্রুত চলে যেতে থাকে। পরে পুলিশ ধাওয়া করে। গাড়িটি থামার আগে পুলিশের গাড়ির পেছনে ধাক্কা দেয়। তারা পুলিশকে লক্ষ্য করে বেশ কয়েকটি গুলি চালায়। পুলিশ আত্মরক্ষার জন্য পাল্টা গুলি চালায়।
সোনার দোকান
মালয়েশিয়ার স্টার অনলাইনের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, তারা বেশ কয়েকটি সোনার দোকানে ডাকাতি ও ছিনতাইয়ের সঙ্গে জড়িত সেন্ট্রো গ্যাংয়ের সদস্য বলে পুলিশের সন্দেহ। নিহতদের দুজন ৩৪ থেকে ৪৪ বছর বয়সী ভিয়েতনামের নাগরিক ও একজন বাংলাদেশি নাগরিক, যার বয়স ৩৮ বছর। একটি গাড়ি থেকে তাদের মরদেহ উদ্ধার করা হয়েছে। তবে তাদের নাম-পরিচয় প্রকাশ করা হয়নি। পাহাং পুলিশ প্রধান দাতুক সেরি ইয়াহয়া ওথমান বলেন, তাদের কাছ থেকে সাত রাউন্ড গুলিসহ একটি গ্লক-১৭ টাইপ পিস্তল জব্দ করা হয়। এ ছাড়া চুরির কাজে ব্যবহৃত আরও সরঞ্জামও পাওয়া গেছে, যার মধ্যে দুটি ম্যাচেট ব্লেড রয়েছে।
মালয়েশিয়া
এর আগে মালয়েশিয়ার বাংলাদেশ দূতাবাস গত ১ বছর ৯ মাসে মৃত্যুজনিত ঘটনায় নিয়মিত ক্ষতিপূরণ আদায়ের পাশাপাশি অতিরিক্ত ক্ষতিপূরণ বাবদ ৩ কোটি ৩ লাখ ৪৯ হাজার টাকা আদায় করে ৪৬টি পরিবারকে দিয়েছে। মালয়েশিয়ায় বাংলাদেশ হাইকমিশনের প্রথম সচিব (শ্রম) এ এস এম জাহিদুর রহমান ঢাকা পোস্টকে বলেন, বাংলাদেশের কোনো নাগরিক মালয়েশিয়ায় মৃত্যুবরণ করলে এবং তা হাইকমিশনের নজরে এলে হাইকমিশন সর্বোচ্চ আন্তরিকতা ও গুরুত্বের সঙ্গে কাজ করে। কর্মীর বকেয়া, দুর্ঘটনা, মৃত্যু ও ইন্স্যুরেন্সসহ ক্ষতিপূরণ আদায়ে দূতাবাস সক্রিয় ভূমিকা রাখে। এ ছাড়া ক্ষতিপূরণ প্রাপ্তি নিশ্চিত হওয়ার পরই মরদেহ দেশে পাঠানোর অনুমতি দেওয়া হয়।
মালয়েশিয়ার রাজনৈতিক ব্যবস্থা একটি সাংবিধানিক রাজতন্ত্রের কাঠামোতে পরিচালিত হয়। রাজা হলেন রাষ্ট্রের প্রধান এবং প্রধানমন্ত্রী হলেন সরকার প্রধান। মালয়েশিয়ার বর্তমান রাজা সুলতান আব্দুল্লাহ।[১২] মালয়েশিয়ার সরকার ও ১১টি অঙ্গরাজ্য সরকারের হাতে নির্বাহী ক্ষমতা ন্যস্ত।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] সরকার এবং আইনসভার দুই কক্ষের (দেওয়ান নেগারা ও দেওয়ান রাকিয়াত) উপর যুক্তরাষ্ট্রীয় আইন প্রণয়ন ক্ষমতা ন্যস্ত। বিচার বিভাগ নির্বাহী ও আইন প্রণয়ন বিভাগ অপেক্ষা স্বাধীন, তবে নির্বাহী বিভাগ বিচারক নিয়োগদানের মাধ্যমে বিচার বিভাগের উপর কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে থাকে।