নবিজি (সা.) বলেছেন, যে ব্যক্তি অধিক পরিমাণে ‘আসতাগফিরুল্লাহ’ পড়বে যার অর্থ : ‘আমি আল্লাহর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করছি।’ আল্লাহ তাকে তার সব দুশ্চিন্তা থেকে মুক্ত করবেন। সব সংকট থেকে মুক্তি দেবেন এবং তাকে এমনভাবে অর্থ দান করবেন, যা কোনো মানুষ ধারণাও করতে পারে না। (মুসতাদরাকে হাকেম)।
আমাদের বিশ্বাস রাখতে হবে যে, আমাদের রিজিকের ব্যবস্থা মহান আল্লাহই করবেন। তাই রিজিক অন্বেষণের সঙ্গে সঙ্গে মহান আল্লাহর কাছে প্রার্থনা করে যেতে হবে, তিনি যেন আমাদের সবাইকে উত্তম রিজিক দান করেন। আমিন!
বিবাহ করুন কারণ বিবাহ ধনী হওয়ার একটা সহজ উপায়। আল্লাহ্ তায়ালা পবিত্র কুরআনে ওয়াদা করেছেন যে,বিবাহ করলে তিনি নিজ অনুগ্রহে তাকে ধনী করে দেবেন। আল্লাহ্ তায়ালা বলেন, যারা বিবাহবিহীন আছে এবং দাস দাসীদের মধ্যে যারা নেককার তাদের বিবাহ দিয়ে দাও।
যদি তারা অভাবগ্রস্থ থাকে আল্লাহ্ তায়ালা নিজ অনুগ্রহে তাদেরকে ধনী করে দিবেন। আর আল্লাহ্ তায়ালা প্রাচুর্যময় ও সর্বজ্ঞ।(সুরা নূরঃ ৩২)
আব্দুল্লাহ ইবনে আব্বাস (রাঃ)বলেছেন, আল্লাহ্ তায়ালা বিবাহ দিতে উৎসাহ দিয়েছেন এবং স্বাধীন ও গোলামদেরকে তার (বিবাহ করতে)আদেশ দিয়েছেন
এবং এর বদৌলতে তাদেরকে ধনাঢ্যতার ওয়াদা করেছেন। এরপর তিনি উপরোক্ত আয়াত তেলাওয়াত করলেন।
রাসুল (সাঃ) বলেছেন, তিন ব্যক্তিকে সাহায্য করা আল্লাহ্ তায়ালার জন্য কর্তব্য হয়ে যায়। আল্লাহ্ তায়ালার রাস্তায় জিহাদকারী।
চুক্তিবদ্ধ গোলাম যে তার মনিবকে চুক্তি অনুযায়ী সম্পদ আদায় করে মুক্ত হতে চায়। এবং ওই বিবাহিত ব্যক্তি যে (বিবাহ করার মাধ্যমে) পবিত্র থাকতে চায়। (তিরমীজি-১৬৫৫, নাসায়ী-৩২১৮, ৩১২০,সহীহ ইবনে হিব্বান-৪০৩০,বায়হাকীঃসুনানুল কুবরা-১৩৪৫৬,২১৬১২; হাদিসটি হাসান)
ধনী হওয়ার আমল (পাঁচ)
একটি ঘটনা দিয়েই শুরু করি। এক যুবক হুযুরের কাছে আসলেন নিজের দারিদ্রতার অভিযোগ নিয়ে। বল্ল, ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি অনেক গরীব। জীবন যাপনের জন্য প্রয়োজনীয় কোন কিছুই আমার কাছে নাই। পরিবার পরিজনের খরচ বহন করার সামর্থ্ও নাই। ইয়া রাসুলাল্লাহ আমি খুবই গরবী আমার উপর দয়া করুন।হুযুর (দঃ) এশ্ন করলেন তোমার ঘরে কি আছে? সে জবাব দিল হে রাসুলাল্লাহ আমার কাছে ১টি কম্বল আর ১টি পেয়ালা ছাড়া আর কিছুই নাই।
অত:পর হুযুর (দঃ) ফরমালেন, যাও তা নিয়ে আস। সে ঘরে গেল আর সে কম্বল আর পেয়ালা নিয়ে আসল। তা বিক্রী করে একটা কুঠার কিনে আনলেন। আর হুযুর (দঃ) তাতে নিজ হাতে হাতল লাগিয়ে দিলেন । আর বললেন, যাও এ দিয়ে লাকড়ি সংগ্রহ কর।
সে গিয়ে জঙ্গল থেকে লাকড়ি কেটে এনে বিক্রী করতে লাগল, ১৫ দিন পর অত্যন্ত আনন্দ চিন্তে হুযুরের বারেগাহে চলে আসল।
আর আরজ করল এয়া রাসুলাল্লাহ ১৫দিনে আল্লাহ তায়ালা আমাকে ১০ দেরহাম দান করেছেন।
এবার হুযুর (দঃ) তাকে বললেন তুমি এ ১০ দেরহামকে ৩ ভাগ কর। একভাগ, নিজের জন্য খরচ কর। একভাগনিজের আত্মিয়স্বজনের জন্য খরচ কর। আর বাকী এক ভাগ গরীবদের জন্য খরচ কর। এ ভাবে আমল করতে করতে মদীনার সবচেয়ে গরীব লোকটি হযরত ওমরের জামানায় মদীনার সবচেয়ে ধনী লোকদের একজনে পরিনত হলেন।