এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

বাংলাদেশ VS শ্রীলঙ্কা হার CRICKET


চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে আজ (15-03-24) সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে মুখোমুখি বাংলাদেশ ও শ্রীলঙ্কা। প্রথম ম্যাচে পরে ব্যাটিং করে ৬ উইকেটে জিতেছিল বাংলাদেশ। সে ম্যাচে পরের ইনিংসে শিশিরের প্রভাব ছিল স্পষ্ট।

বাংলাদেশ ব্যাট করে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান

শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজ জয়ের আশা নিয়ে গতকাল মাঠে নেমেছিল বাংলাদেশ। তবে সেই আশা শেষ পর্যন্ত পূরণ হয়নি। টাইগারদের ৩ উইকেটে হারিয়ে ওয়ানডে সিরিজে সমতা ফেরাল লঙ্কানরা। ম্যাচে প্রথমে বাংলাদেশ ব্যাট করে সংগ্রহ করে ২৮৬ রান। ম্যাচ শেষে সংবাদ সম্মেলনে তাওহীদ হৃদয় জানালেন এই রান জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল না।

বাংলাদেশের জন্য ঘরের মাঠ নয়!

শিশিরে বল আজও হাত পিছলে যাওয়ার কথা। বল গ্রিপ করা নিশ্চয়ই সহজ হয়নি তাসকিন–শরীফুলদের। ওদিকে পাতুম নিশাঙ্কা ফিরেছেন স্বরূপে। তাঁর কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে থাকলেন চারিত আসালাঙ্কা। মধ্য মার্চেও রাতের কুয়াশা আর বিধ্বংসী এক লঙ্কান জুটিতে জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়াম যেন বাংলাদেশের জন্য ঘরের মাঠ নয়!

স্কোরবোর্ডে ২৮৬ রান

বাংলাদেশের স্কোরবোর্ডে ২৮৬ রান। সেটা তাড়া করতে গিয়ে শ্রীলঙ্কার ইনিংস এগিয়ে গেল উত্থান–পতনের মধ্য দিয়ে। নিশাঙ্কা–আসালাঙ্কা জুটির কারণে একটা পর্যায়ে মনে হচ্ছিল, সহজেই জিতে যাবে তারা। শেষ পর্যন্ত সহজে জিতেছেও। তবে মাঝে ওই জুটির বিচ্ছিন্ন হওয়াই জন্ম দিয়েছিল খানিক টুইস্টের।

দেরিতে হলেও শেষ প্রচেষ্টাটি ভালো 

তাওহিদ হৃদয় এবং টেলএন্ডের ব্যাটসম্যানদের সুবাদে বাংলাদেশ ২৮৬ রান করলেও সেটি যে এমন উইকেটে যথেষ্ট ছিল না, সেটিই প্রমাণিত হলো। ২২ থেকে ৪৭—এই ২৬ ওভারে ৪.৩ হারে বাংলাদেশের রান এসেছে ১১২। এতেই বোঝা যায়, অসময়ে উইকেট হারানোর খেসারত দলকে কীভাবে দিতে হয়েছে। উইকেটে সহায়তা না থাকলে আমাদের স্পিনারদের কার্যকারিতা প্রশ্নবিদ্ধ হয়ে পড়ে। শুধু পরিসংখ্যান নয়, বিভিন্ন কন্ডিশনে স্পিনারদের কার্যকারিতার ব্যাপারটাও ভেবে দেখা প্রয়োজন। দলীয় ফিল্ডিং এবং দেরিতে হলেও শেষ প্রচেষ্টাটি ভালো লেগেছে।

৪৭.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা

বিশেষ করে লঙ্কান ইনিংসের ৩৭ থেকে ৪২তম ওভার পর্যন্ত মাঠ–গ্যালারিতে ভর করেছিল বাড়তি উত্তেজনা। নিশাঙ্কা–আসালঙ্কার ১৮৫ রানের চতুর্থ উইকেট জুটি ভাঙার পর মনে হচ্ছিল, ম্যাচ কিছুটা হেলে গেছে বাংলাদেশের দিকে। মনে হচ্ছিল, ৫০ ওভারের ক্রিকেট তার সব উত্তেজনা নিয়েই হাজির হতে চলেছে। কিন্তু সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। ৪৭.১ ওভারেই ম্যাচ জিতে যায় শ্রীলঙ্কা। সিরিজে ১–১ সমতা ফেরায় ১৮ মার্চের শেষ ওয়ানডেটা এখন রূপ নিল ‘ফাইনালে’।

Next Post Previous Post

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬