এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ২

ইন্দ্র নিলা ব্যাবহারে আপনি কোটিপতি হবেন।


 নীলা পাথরকে যে নামে  বলা হয় তাহলো

একটি কথা মনে রাখতে হবে যে, ভুল ঔষধ সেবনের কারণে বা প্রয়োজন ব্যতিত ঔষধ ব্যবহারে যেমন জীবন নাশ বা ক্ষতি হতে পারে: তেমনি প্রয়োজন ছাড়া রত্ন পাথর ব্যবহার বা যথার্থ রত্নের ভুল ব্যবহারের কারণেও মারাত্বক ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনাও প্রচুর। রত্ন-পাথরের ইতিহাস থেকে জানা যায় ভূত্বকে, ভূগর্ভে ও সমুদ্রগর্ভে সুনীল জলরাশির তলে বিভিন্ন প্রকার রত্ন-পাথর পাওয়া যায়। অনেকের মনে প্রশ্ন জাগতে গ্রহ-নক্ষত্রের শুভাশুভ ক্রিয়া মানুয়ের জীবনে বিদ্যমান থাকলেও রত্ন দ্বারা কি তার প্রতিকার সম্ভব? বা রত্ন ধারণে কি উপকৃত হওয়া যায়? এর উত্তরে বলা যেতে পারে যে, মানব দেহের প্রতিটি অঙ্গ পরমাণুর সমন্বয়ে সৃষ্ট। সৌরমন্ডলের গ্রহগুলোও পরমাণুর সমষ্টি। আর বিভিন্ন প্রকার রত্নগুলো এমন সব পদার্থের সমন্বয়ে সৃষ্ট যার উপস্থিতি মানব দেহেও বিদ্যমান। বিভিন্ন প্রকার রত্ন সরাসরি মানব দেহের ত্বককে স্পর্শ করে শরীরের উপর ইলেকটোম্যাগনেটিক (Electro Magnetic) প্রভাব বিস্তার করে, মানব দেহের বিদ্যমান যে কোন পদার্থের অসামঞ্জস্যপূর্ণ উপসি’তির সামঞ্জস্য আনয়ন করে।

বিভিন্ন প্রকার রত্ন বিভিন্ন গ্রহের রশ্মি অতিমাত্রায় আকর্ষণ বা বিকর্ষণ করতে পারে। তাই রত্ন ধারণ করে স্নায়ুর উপর বিশেষ বিশেষ গ্রহের রশ্মি যোগ বা বিয়োগ করে শক্তিশালী করা সম্ভব। ফলে স্নায়ুগুলি শক্তিশালী হবে ও নতুন চিন্তা চেতনায় জীবন প্রবাহের ক্ষেত্রে সুশৃঙ্খল ভাবে এগিয়ে নিবে। আলোক রশ্মি, বায়ুমন্ডল (Atmosphere) ভেদ করে পৃথিরীর ভূ’ভাগের উপর পতিত হয়। গ্রহদের যেমন নিজস্ব তেজ বিকিরণের ক্ষমতা আছে, প্রতিটি রত্মেরও তেমনি পৃথক পৃথক তেজ আহরণের ক্ষমতা আছে। সূর্য এবং গ্রহমন্ডল থেকে বেরিয়ে আসা এই আলোক রশ্মিই আমাদের উপর নানাভাবে কাজ করে। ভু’গর্ভে বা সমুদ্র গর্ভে যে সকল রত্ন-পাথর সৃষ্টি হয় তাহাও ঐ সৌর রশ্মিরই রাসায়ণিক ক্রিয়ারফল। মানব দেহের উপর Cosmic Ray জধু এর প্রভাব বৈজ্ঞানিকভাবে স্বীকৃত । সূর্যের আল্ট্রা ভায়োলেট রশ্মি (Ultra-Violet Ray) ও অপরাপর রঙ বিভিন্ন প্রকার রত্ম-পাথর এবং এর আভ্যন্তরীণ প্রচ্ছন্ন শক্তির উপর পরোক্ষ ও প্রত্যেক্ষভাবে ক্রিয়াশীল হয়ে মানবদেহে সংক্রামিত বিভিন্ন প্রকার ব্যাধির প্রতিকার করতে পারে।  উল্লেখ্য রত্ম গুলোতেও বিভিন্ন রঙ বিদ্যমান। রত্ন গুলো হচ্ছে-হীরা, রুবী, পান্না, মুক্তা, গোমেদ, ক্যাটসআই, পোখরাজ, প্রবাল ইত্যাদি।

(১)  ইন্দ্র নীলা পাথর (indro Nila )

(২)  রক্তমুখী নীলা পাথর (Raktamukhi Neela )

(৩)  পীতাম্বর নীলা পাথর (Pitambari Nela )

(৪)  শ্বেত নীলা পাথর (Seth Neelam)

(৫)  কৃষ্ণ নীলা পাথর (Seth Neelam)

(৬)  অপরাজিতা নীলা (Krishna Neelam)

(৭)  ময়ূরী নীলম (Mayuri Neelam)

(৮)  গঙ্গাজল নীলা পাথর (Gangajal Neelam)

(৯)  ষ্টার নীলা পাথর (Star Blue Sapphire)

(১০)  পদ্মনীলা পাথর (Podma Nila Pathor)

রত্নবিদ্যা অনুসারে, যদি একটি নীলা রত্নপাথর কারও পক্ষে উপযুক্ত হয় তবে সেই ব্যক্তি আর্থিক সুবিধা পেতে শুরু করেন। তাদের চাকরি বা ব্যবসায় উন্নতির লক্ষণ দেখা দেয়। অন্যদিকে, যাদের স্থায়িত্ব নেই, অর্থাত ধৈর্য নেই, তারা নীলা পাথর পরলে জীবনে এক ধরনের স্থিরতা আসে ও তারা সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে সক্ষম হয়। এমনকি কোনও ব্যক্তি জাদুবিদ্যা বা অশুভ আত্মা দ্বারা প্রভাবিত হয় তবে নীল পাথর পরিধান করা খুবই উপকারী।

রত্নশাস্ত্রে রত্নগুলির বর্ণনা পাওয়া যায়। নীলা রত্ন সম্পর্কে অনেকেই অনেক তথ্য় জানেন। শনি দেবের সঙ্গে এই রত্নের সম্পর্ক রয়েছে বলে বিশ্বাস করা হয়। কর্ম ও ন্যায়বিচারের দাতা, নীলা একটি মূল্যবান পাথর হিসাবে বিবেচিত হয়। এর মানে হল যে আপনি যদি নীলকান্তমণি কিনতে না পারেন তবে আপনি নীলা পরতে পারেন। কারণ বাজারে নীলকান্তমণি অনেক দামী ও বিরল। তবে নীলা হল নীলকান্তমণির চেয়ে অনেক সস্তা। তবে যে কেউ এই রত্ন ধারণ করতে পারেন না। কারণ এই নীলা ধারণ করতে পারেন বেশ কয়েকটি রাশির জাতক-জাতিকারা। কোন কোন রাশির জাতক-জাতিকাদের জন্য নীলা খুব শুভ ও কীভাবে তারা পরবেন, 

নীল পরার সঠিক উপায় নীল পাথর কমপক্ষে ৭,১৫ থেকে ৮.১৫ বেতের মধ্যে পরিধান করা উচিত। এর পাশাপাশি নীল পাথরকে পঞ্চধাতু বা রূপার মধ্যে রেখেও পরা যেতে পারে। শনির হোরা বা শনিবার নীল রত্ন পরা যেতে পারে। দুধ ও গঙ্গাজল দিয়ে শুদ্ধ করে মধ্যমা আঙুলে পরতে হবে। এছাড়াও, এটি পরার পরে, শনি সংক্রান্ত কিছু দান বের করে মন্দিরের পুরোহিতকে দেওয়া উচিত।

কোন কোন রাশির জাতকরা নীলা পরতে পারেন, তা জেনে নিন এখানে। রত্নশাস্ত্র অনুসারে, বৃষ, মিথুন, কন্যা, তুলা, মকর ও কুম্ভ রাশির জাতক জাতিকারা এই রত্ন ধারণ করতে পারেন। যদি শনিদেব জন্মকুণ্ডলীতে অশুভ অবস্থায় অধিষ্ঠান করে থাকে, তাহলে নীল রত্ন পরাও ক্ষতিকর হতে পারে। অন্যদিকে, শনি যদি কেন্দ্র বাড়ির অধিপতি হয়, তবে আপনি নীল পাথরও পরতে পারেন। এর পাশাপাশি শনিদেব যদি উচ্চস্থানে চিহ্নে বসে থাকেন তবে নীল রত্নও পরা যেতে পারে। এছাড়াও, নীল পাথরগুলি রুবি ও প্রবালের সঙ্গে পরা উচিত নয়।

Next Post Previous Post

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৩

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৪

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৫

এইটা একটি বিজ্ঞাপন এরিয়া। সিরিয়ালঃ ৬